
এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও
দেশীয় রসালো মৌসুমী ফলের প্রতি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। চাহিদা নেই ভিনদেশীয় ফলে। গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারে লিচু, আম, কাঁঠালসহ হরেক রকমের দেশীয় ফলফলাদিতে ভরপুর। দেশী ফলের প্রতি আকৃষ্ট লোকজন, ফলে বাজারে এর চাহিদা বেড়েছে। অন্যদিকে ফলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কদরহীন হয়ে পড়েছে ভীনদেশী নানা নামের ফলফলাদী। চলতি ভরা মৌসুমে দেশী ফলের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেখা যায়, ঈদগাঁওসহ বিভিন্ন হাট বাজারে দেশীয় সুস্বাদু ফলফলাদীতে সয়লাভ এখন। বাজারে পসরা সাজানো নানা জাতের আম, লিচু,কাঁঠাল,তালের শাঁস,আনারস,কলা,ডাব সহ নানা ধরনের মৌসুমী ফলে আকৃষ্ট হন ক্রেতারা। সারাবছর পাওয়া ফল থেকে এসব মৌসুমী ফলে নতুনত্ব থাকায় ক্রেতারা কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ভীনদেশি ফল মাল্টা, আপেল, আঙুর ও আনারের চড়া দামে বিপাকেই সাধারণ মানুষ। খাওয়ার স্বাদ থাকলেও খেতে পারছেনা অনেকে। তার স্থলে দেশীয় মৌসুমী ফল ফলাদী হাত ছাড়া করছেন না এলাকার লোক জন।
ফল কিনতে আসা ফোরকান ও মিজান জানান, বারোমাসি বিদেশী ফল সবসময় বাজারে পাওয়া যায়। মৌসুমি ফল মৌসুম ছাড়া পাওয়া যায়না, তাই মৌসুমি ফলের চাহিদা বেশি। আত্বীয়ের বাড়ি যাচ্ছি তাই কিছু ফলফলাদি নিতে আসছি। বর্তমানে বাজারে দেশী ফলের সরবরাহ বাড়ায় বিদেশি ফলে ক্রেতাদের আগ্রহ কম। বারোমাসি ফল সবসময় পাওয়া যায় বলে ক্রেতারা মৌসুমী ফল কিনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন পাড়া-মহল্লার সাধারণ মানুষরা। ফল বিক্রেতা জানান, বিদেশি ফলের চাহিদা কমলেও ক্রেতাদের দৃষ্টি এখন মৌসুমী ফলে।দেশি ফলের চাহিদার তুলনায় ভীনদেশি ফলের চাহিদা একটু কমেছে।
মৌসুমী ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সাধারণত মানুষকে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে মৌসুমী ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। তবে একেক ফলে একেক উপকারিতা বলেও জানালেন পল্লী চিকিৎসক রেহেনা আকতার কাজল।