আবদুল মালেক হিরন, স্টাফ রিপোর্টার।
কুমিল্লার লাকসামে ইক্বরা মাদ্রাসার ছাত্রী সামিয়া আক্তার (১৩) এর মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে সন্দেহভাজন মাদারাসা সুপার জামাল উদ্দিনসহ ৩ জনকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১টায় লাকসাম প্রেস ক্লাবে পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সামিয়ার মা শারমিন বেগম। আগেরদিন রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে সামিয়াকে হত্যার অভিযোগ এনে তিনি লাকসাম থানায় এজাহার দিয়েছেন। এজাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা।
সংবাদ সম্মেলনে সামিয়ার মা শারমিন বেগম অভিযোগ করে বলেন, সামিয়া ৫ম তলা থেকে ঝাপিয়ে নিচে পড়ে মারা গেছে বলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অপপ্রচার চালালেও তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মাদরাসা সুপার জামাল উদ্দিন, শিক্ষক শারমিন ও দারোয়ান খলিলকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন হবে।
এদিকে, মেয়ে সামিয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর সংবাদ শুনে পিতা নিজাম উদ্দিন শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। তিনি সামিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি জানিয়ে দ্রুত হত্যাকান্ডের বিচার চেয়েছেন।
সামিয়ার মা শারমিন বেগম আরও বলেন, আমার মেয়েকে গত ১০মার্চ লাকসাম ইক্বরা মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়। ১৩ এপ্রিল ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফেরত নিতে গেলে মাদ্রাসা সুপার ধমক দেয়। এসময় দারোয়ান ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় এবং শিক্ষক শারমিন টেনে-হিছড়ে সামিয়াকে নিয়ে যায়। এসময় দুর থেকে সামিয়ার আর্তচিৎকার শুনতে পায় সামিয়ার বোন ও খালা।
তিনি বলেন, এ ঘটনার তিন (৩) দিন পর বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) গভীর রাতে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে লাকসাম আসতে বলে।লাকসাম আসলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সামিয়া পাঁচ তলা ভবনের জানালার ফাঁক দিয়ে ঝাপিয়ে নিচে পড়ে যায় বলে আমাদেরকে জানায়। পরেরদিন শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সামিয়া ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
তিনি জানান, সামিয়া মারা যাওয়ার পূর্বে কালো বোরকা পরিহিত কেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে বলে আমাদেরকে বলে গেছে। তাই এটি নিশ্চিত হত্যাকান্ড। এই বিষয়ে মামলা করতে গেলে লাকসাম থানা অপমৃত্যু মামলা নেয়। সর্বশেষ তারা হত্যা মামলার এজাহার জমা নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লাকসাম প্রেস ক্লাব ও লাকসাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই সমস্ত অপরাধীদের জনসম্মুখে বিচার হওয়া দরকার দৃষ্টান্তমূলকভাবে
দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি