মোঃ নাছির চৌধুরী নবীনগর উপজেলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ১১ টায় অত্র ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে সাতমোড়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের সচেতন জনগণের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সাতমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ভিপি মো. কাউসার আলম, সহ-সভাপতি মো. আতাউর রহমান খসরু, সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল হামীম রিপন, সাতমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ জাহান, সাতমোড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. শাহিন কাজল, সদস্য সচিব মো. নুরুন নবী শান্ত, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, যুগ্ন আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার ফুয়াদ হাসান ও রবিউল হাসান মানিক, সাতমোড়া ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মো. বাসার মিয়া, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ফুল মিয়া, যুবদল নেতা রুহুল আমিন বায়জিদ ও হাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুখলেসুর রহমান, সুজ্জু মিয়া সহ অত্র ইউনিয়নের আরো বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন আওয়ামীলীগের দোষর। তিনি গত ৫ই আগস্টের পর থেকে পলাতক থাকার কারনে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। যার ফলে ইউনিয়নের পরিষদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে এবং ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতাদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। মানবন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, জসিম উদ্দিন গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন, যার যতেষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে এবং তিনি বর্তমানে একটি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী। এমতাবস্থায় জনভোগান্তি নিরসনসহ আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে আমরা ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের অপসারণের জোর দাবী জানাচ্ছি। মানবন্ধন শেষে অত্র ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের অপসারণের জোর দাবী জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ভিপি মো. কাউসার আলম।
এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, আমি আওয়ামীলীগ করাতে স্থানীয় কিছু বিএনপির লোকজন আমার মানহানী করতে এসব করতেছে। আমি অসুস্থ আছি, ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছি। কিছুদিনের মধ্যেই সুস্থ্য হয়ে আমি আবারও নিয়মিত অফিস করবো। তবে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে যদি প্রমাণ পায়, তাহলে আমাকে যে শাস্তি দিবে আমি সেটা মাথা পেতে নিবো। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী বলেন, কোন জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করতে হলে মানববন্ধন বা সংবাদ সম্মেলন কোন যথাযথ প্রক্রিয়া নয়। ঐ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে কেউ আমাকে (ইউএনও) বা ডিসি বরাবর লিখিত আকারে অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।