নিজস্ব প্রতিবেদক।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ডঃ সৈয়দ একেএম সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের মাঝে ইসলামী গণজাগরণ সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ চাইলেই এদেশে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা সম্ভব। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হলে এদেশে করাপশন বন্ধ হবে, দুর্নীতি বন্ধ হবে, জুলুম নির্যাতন বন্ধ হবে, শ্রমিক, মজদুর, চাকরিজীবী ব্যবসায়ী সবাই ন্যায্য অধিকার পাবে।
তিনি বলেন, এদেশের আজ ৫৩ বছর। এদেশের সকল নির্বাচন রাতের অন্ধকারে হয়নি। দিনেও হয়েছে , সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ছাড়াও জাকের পার্টি, ইসলামী আন্দোলনসহ আরও ইসলামী দল ছিল। ঐসব নির্বাচনে অধিকাংশ মানুষ ইসলামী দলকে ভোট দেয়নি। তাই এদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম হয়নি। সাধারণ মানুষের কাছে ইসলামী রাষ্ট্রের কনসেপ্ট পরিস্কার ভাবে তুলে ধরতে হবে। প্রতিটি ভোটার, প্রতিটি মা-বোনের কাছে এই কনসেপ্ট ক্লিয়ার হলেই এদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ। আগামী ৯ মাসে ইসলামী রাষ্ট্রের কনসেপ্ট পৌঁছে দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে লাকসাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডঃ সরওয়ার আরো বলেন, কারবালার বিয়োগান্তক ঘটনায় আমরা দেখেছি- প্রথমত, খোলাফায়ে রাশেদায় রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের মালিক হচ্ছেন মহান রাব্বুল আলামিন আর এজিদের রাষ্ট্রে সার্বভৌমত্বের মালিক এজিদ নিজেই। দ্বিতীয়তঃ, খোলাফায়ে রাশেদার শাসকরা নিজেদের জনগণের সেবক মনে করতেন, আর এজিদ নিজেকে জনগণের শাসক মনে করেন। তৃতীয়ত, খোলাফায়ে রাশেদার আইনের ভিত্তি হচ্ছে কোরআন সুন্নাহ আর এজিদের আইনের ভিত্তি হচ্ছে তার হুকুম ও তার ইচ্ছাশক্তি। চতুর্থত, ইসলামী রাষ্ট্রে সম্পদের মালিক ছিল জনগণ; শাসকরা ছিলেন পাহারাদার, আর এজিদ নিজেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের মালিক মনে করে। ইসলামী রাষ্ট্রের শাসকরা ছিলেন ন্যায় বিচারক আর এজিদ নিজেই ছিলেন জালিম, তার অনুসারীরাও প্রতিনিয়ত জনগণের উপর জুলুম করতো। ইসলামী শাসকরা নিজেরা ছিলেন ধার্মিক, পরহেজগার, দ্বীনদার আর এজিদ ছিলেন যেনাকার-মধ্যপ।
লাকসাম পৌরসভা জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মোহাম্মদ সহিদ উল্লাহর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, লাকসাম উপজেলা জামায়াতের আমীর হাফেজ জহিরুল ইসলাম, কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট বদিউল আলম সুজন, নটরডেম কলেজের অধ্যাপক ড. এবিএম মাহবুবুল ইসলাম, লাকসাম পৌরসভা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা নূর মোহাম্মদ তাহেরী, সাবেক আমীর বিশিষ্ট ব্যাংকার মোঃ আবুল হাশেম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সহ-সভাপতি মাষ্টার একেএম শাহ আলম, সেক্রেটারী মাওলানা শাহাব উদ্দিন হায়দার, পৌরসভা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা ইয়াছিন মজুমদার, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, নুরে আলম, অধ্যাপক আব্দুল কাহহার, মাওলানা আবু জাফর সালেহ, আব্দুর রহমান, ফয়সাল মুন্সি, মুফতি আকতার হোসেন আজাদী, সাইফুল ইসলাম খোকন, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মাওলানা বিলাল হোসাইন মালেকী, প্রভাষক সোলেমান সরওয়ার, পৌরসভা ছাত্রশিবির সভাপতি নাজমুল ইসলাম, নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ শিবির সভাপতি রিফাত হোসেন প্রমুখ।
এ সময় লাকসাম পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশক ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ- মোঃ হামিদুল ইসলাম। প্রধান সম্পাদকঃ- মোঃ ইলিয়াছ হোসাইন। দৈনিক আজকের সত্য প্রকাশ © ২০২৫-২৬ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। ই-মেইলঃ news24ajkersottoprokash@gmail.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ কোড ব্রাইট আইটি