মো:রমিজ আলী,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম)
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলন সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের প্রবেশ ধার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বুক ছিড়ে থাকা সীতাকুণ্ড উপজেলা থেকে। এই সময় বিএনপির সাবেক যুগ্ন মহাসচিব ও বর্তমান দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া র রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়ন আসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে রাজনৈতিক দুর্বার আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলা হয়।সেই সময় বাংলাদেশের লাইনল্যান খ্যাত ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক হরতাল, অবরোধে অচল হয়ে পুরো দেশ এক প্রকার স্তব্ধ হয়েছিল। বাংলাদেশের বানিজ্যিক চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাকে বিছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় শত-শত বিএনপি জামায়াতের নেতা,কর্মিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে আসে এমন কি আসলাম চৌধুরী ও সরাসরি রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তার নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলনে হাসিনা সরকার বিদ কেঁপে উঠেছিল। ওই সময় বলা হয় তাকে চট্টগ্রামের জনপ্রিয় এই নেতার নেতৃত্বে প্রথমে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ফ্যাসিষ্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল। এই সব কারণে হাসিনা সরকার বিএনপির সর্বোচ্চ ত্যাগি নেতা আসলাম চৌধুরীকে টার্গেট করে। সরকার সর্শনালে পড়ে ২০১৫ সালে ঢাকা কডির বিশ্ব রোর্ড থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
পরিকল্পিত মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতাকে দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর কারাগারে আটক রাখে অবৈধ ফ্যাসিষ্ঠ শেখ হাসিনার এই সরকার। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের কারণে এর আগেও তিনি তিন তিন বার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং কারা বরণ করেন।দীর্ঘ সময় তিনি তার আপন দুই ভাইকে হারিয়েছেন।অবৈধ সরকারের আক্রোশে শিকার হয়ে তিনি তার বড় ভাই সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইসহাক কাদের চৌধুরী বহু মামলার আসামি হয়ে শেষ পযন্ত স্টক করে মৃত্যু বরণ করেণ এবং অপর আরেক ভাই ও মৃত্যু বরণ করেন।কারাগারে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আসলাম চৌধুরী তার ভাইদের জানাযার নামাজে অংশ গ্রহন করতে পারেনি। এই দুই ভাইয়ের মুখ ও শেষ বারের মতো দেখতে দেয়নি হাসিনা সরকার। যা মানবাধিকার চরম লঙ্ঘন।
তিনি তার ১৭ টি ঈদুল ফিতর,ও ঈদুল আযহা কারাগারের অন্ধকারে কাটিয়েছেন। তবে কারাগারেও তিনি কারা বিদ্রোহ দমন ও কারাবন্ধি নেতা কর্মিদের পাশে ছিলেন।তাই তিনি তৃণমূলের নেতা কর্মিদের হৃদয়ে জায়গা করে করে নেন।মুক্তির পর এই প্রথম বার আসলাম চৌধুরী সীতাকুণ্ড কেন্দ্রীয় ঈদ জামাতে হাজার হাজার মানুষের সাথে ঈদুল আজাহার উদযাপন করেন।এই সময় তিনি কেন্দ্রীয় জামাতে দল মত নিবিশেষে সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান।তাকে কাছে পেয়ে বিএনপির নেতা কর্মিরা ও সীতাকুণ্ডে সর্বস্তরের জনসাধারণ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।