নিজস্ব প্রতিবেদক।
উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম মহিলা নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর জীবন ও জনহিতকর কর্ম সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে লাকসাম উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর ফাইনাল রাউন্ড ও পুরস্কার বিতরণ ৫ জুন ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদের সভাপতিত্বে নবাব ফয়জুন্নেছা জাদুঘরে লাকসাম পৌরসভার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিতব্য উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশনের প্রধান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী জনাব ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
উল্লেখ্য, নারী শিক্ষার অগ্রদূত, মহীয়সী নারী নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণীর জীবন ও জনহিতকর কর্ম সম্পর্কে আগামী প্রজন্মকে ওয়াকিবহালে বৃহত্তর লাকসামের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন এখন সময়ের দাবী। গত১৯ মে লাকসাম উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই বিতর্ক উৎসবের প্রথম রাউন্ড, ২০মে সেমি ফাইনাল ও কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।
নবাব ফয়জুন্নেছাকে ঘিরে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা উপজেলার চৌকশ নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদের এই প্রশংসনীয় উদ্যোগ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিতর্কিতদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সঞ্চার করছে। এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় লাকসামের ১৬টি স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বিতর্কের বিষয় ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করতে গত ১১ মে ২০২৫ এন এফ এন্ড বিএন হাই স্কুল মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের সাথে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা ও মতবিনিমযের মাধ্যমে নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার কল্প পরিকল্পনা ও রুপরেখা তুলে ধরেন।
এই প্রশংসনীয় উদ্যোগ ইতিমধ্যে লাকসামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে নবাব ফয়জুন্নেছা জীবন ও জনহিতকর কর্মের ইতিহাস সম্পর্কে জানার উ্ৎসব শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী ছিলেন নারী শিক্ষার অগ্রদূত। কারন বেগম রোকেয়ার জন্মের ৭বছর পূর্বে তিনি কুমিল্লায় গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তার জমিদারীর ১৪ টি মৌজায় স্হাপন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়, মক্তব, মাদরাসা ও বালিকা বিদ্যালয়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সহ দেশের অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় রয়েছে এই মহীয়সী নারীর অবদান। ভারতের নদীয়া জেলায় কৃষ্ণনগরে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বালিকা বিদ্যালয়। পবিত্র হজ্জব্রত পালন করতে গিয়ে মক্কা শরীফে প্রতিষ্ঠা করেন মুসাফির খানা। রক্ষনশীল ও ধার্মিক হওয়ার কারনে মিডিয়ায় এতোদিন নবাব ফয়জুন্নেছা নারী শিক্ষার অবদানের বিষয়টি যথায়থভাবে উপস্হাপিত হয়নি। ফলে নতুন প্রজন্মের কাছে এই মহীয়সী নারীর অবদানের কথা অজানাই রয়ে গেছে।