মো:রমিজ আলী,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালামত উল্লাহ সালামের বিরুদ্ধে একটি পত্রিকায় মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকালে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন সালামত উল্লাহ সালাম। লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, গত ১ জুন ” দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে তার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও কাল্পনিক। একটি কুচক্রী মহল তাকে রাজনৈতিকভাবে এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতি করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে এ সংবাদ প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব দখলবাজীতে জড়িত থাকার কারণে প্রেস ক্লাব থেকে বহিষ্কৃত জহিরুল ইসলাম জহির আমার কোন বক্তব্য না নিয়ে আমাদের জাতীয়তাবাদী দলের নেতাদের মধ্যে আমার সাথে দ্বন্দ্ব বাঁধানোর জন্য জহির মনগড়াভাবে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অন-লাইনে সংস্করণে আমার বরাত দিয় জাতীয়তাবাদী দলের জেলা ও উপজেলার নেতাদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ডবাসীকে বিভ্রান্ত করার জন্যে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে।
তিনি বলেন,আপনাদের প্রেস ক্লাব দখলবাজীতে জড়িত থাকার কারণে প্রেস ক্লাব থেকে বহিষ্কৃত জহিরুল ইসলাম আমার কোন বক্তব্য না নিয়ে আমাদের জাতীয়তাবাদী দলের বিএনপির নেতাদের মধ্যে আমার সাথে দ্বন্দ্ব বাধানোর জন্য (জহির) মনগড়া ভাবে গত (১ জুন) দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অন-লাইনে বহু অপকর্মের হোতা শ্রমিকলীগ নেতা শাহাব জেল হাজতে শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। ওই সংবাদে আমার নামে বক্তব্যটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
আমার বরাত দিয়ে জাতীয়তাবাদী দলের ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ডবাসীকে বিভ্রান্ত করার জন্য সংবাদ প্রচার করে। যা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অন-লাইনে জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামিল।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকগন হচ্ছে জাতির বিবেক কিন্তু জহির কত বড় মিথ্যাবাদী নিজেকে হলুদ সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় তুলে ধরা একজন ব্যক্তি। কারণ তিনি আমার কোন বক্তব্য না নিয়েই আমি বলেছি বলে আমার দেশ পত্রিকায় কোন নেতার নাম উল্লেখ না করে বিএনপি জেলা ও উপজেলা দুই নেতার নামে লিখে মিথ্যা নিউজ করে দিয়েছেন। যা কিনা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
উল্লেখ্য যে, গত (১ জুন) দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অনলাইনে এই বক্তব্যটি প্রচার করে। কিন্তু এই বক্তব্যের বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না। সেই বক্তব্যটি হুবহু দেওয়া হলো। সেই সংবাদে তার বক্তব্য মনগড়া প্রচার করে। সেটি হলো- বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালামত উল্লাহ আমার দেশকে বলেন, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম এবং শাহাবউদ্দিনসহ ৯ জন মেম্বার বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে অবৈধ পন্থায় শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির একজন ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির অপর একজন সিনিয়র নেতাকে কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে তাদের ছত্রছায়ায় ৫ অগস্ট জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরও শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেম্বার শাহাবউদ্দিনসহ ৯ জন মেম্বার ও চেয়ারম্যান এলাকায় অবস্থান করে ইউনিয়ন পরিষদে অফিসও করেছেন। পরবর্তীতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে আওয়ামী লীগের এ নেতারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যানের সাগর থেকে বালু তোলার কয়েকটি ড্রেজারসহ ব্যবসা-বাণিজ্য বর্তমানে ওই এলাকার বিএনপির দুই নেতা পরিচালনা করে আসছেন।