বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মন,রিপোর্টারঃ
গাজীপুর মহানগর কাশিমপুর সারদাগঞ্জ কাজী মার্কেট এলাকার মোন্নাফ লেডিস্ টেইলার্সের মালিক মোঃ নুর আলম মিয়া পবিত্র ঈদুল আযহাকে ঘিরে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দোকানের ছোট্ট কামরায় সেলাই মেশিনের শব্দ যেন থামছেই না। তিনি বলেন, “ঈদুল আযহার পোশাকের অর্ডার অনেক বেশি আসছে। জামা, সালোয়ার-কামিজ, শাড়ির পেটিকোট, ব্লাউজ, বাচ্চাদের ফ্রক, গাউন, থ্রি-পিস, জেন্টস্ পাঞ্জাবি, কুর্তা-পায়জামা—সবই একাই তৈরি করছি। মাসব্যাপী প্রায় ১ লাখ টাকার কাপড় সেলাই করছি। কাস্টমারদের চাহিদা মেটাতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেলাই মেশিনের কাছে বসে থাকতে হচ্ছে।
তিনি জানান, একজন সেলাই কর্মচারী নিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি একদিন আসে, দুইদিন আসে না। এভাবে কি সম্ভব? এত অর্ডার জমে আছে, একাই সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে আইপিএস না থাকায় কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে কাস্টমারদের অর্ডার ডেলিভারি দিতে একটু দেরি হয়ে যায়। দোকান ঘুরে দেখা যায়, অর্ডারের কাপড়ের স্তুপ জমে আছে। তিনি নিজেই কাপড় কেটে, সেলাই করে, প্রেস করে কাস্টমারদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “একজন সহকারী পেলেই অনেকটা স্বস্তি পেতাম। তবু কাস্টমারদের হাসিমুখ দেখতে ভালো লাগে, তাই কষ্ট হলেও করে যাচ্ছি।
পবিত্র ঈদুল আযহাকে ঘিরে নতুন পোশাকের স্বপ্ন বুনছেন হাজারো মানুষ। আর সেই স্বপ্নগুলোকে রঙিন করে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কাশিমপুর সারদাগঞ্জের মোন্নাফ লেডিস্ টেইলার্সের মালিক মোঃ নুর আলম মিয়া।