জাহেদুর রহমান জেলা প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে নরসিংদী জেলার বেলাবোউপজেলার ঐতিহ্যবাহী নারায়নপুরহাটে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশি-উন্নত জাতের গরুতে ঠাসা হাট এখন সরগরম দরদাম আর বাছাইয়ের উৎসবমুখর পরিবেশে।
গরুর আকৃতি, স্বাস্থ্য ও লালন-পালনের গুণমান দেখে অনেক ক্রেতার মুখে শোনা যাচ্ছে, “মাশাআল্লাহ! এমন গরু দেখে মনটা ভরে যায়। প্রতিটি গরু ঘিরে চলছে দরদামের কৌশল—ক্রেতার কষা হিসাব, বিক্রেতার বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর। হাটজুড়ে যেন মুখরিত কথোপকথনের হালকা এক যুদ্ধ। একজন ক্রেতা গরুর দামে আপত্তি জানালে বিক্রেতা হেসে জবাব দেন, ভাই, গরু দেখেন, খালি শরীর না—এইটা আমি নিজের ছেলের মতো করে বড় করছি। দাম একটু বেশি হলেও মান আছে।”
অন্য একজন বলছেন, ৮৫ হাজার বলতেছি ভাই, শেষ কথা। এমন গরু চকেরহাটে আর খুঁজে পাবেন না।”
ক্রেতাও কম যান না, পাল্টা বলেন, আমি ৮০ হাজার দিবো, পছন্দ হইছে ঠিক, কিন্তু বাজেটও একটা বিষয় তো!
গরুর দাম শুরু হয়েছে ৪০-৭০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে উন্নত জাতের গরুতে গিয়ে ঠেকেছে দুই লাখ টাকায়। তবে দরদামে মিল হলে বিক্রি হচ্ছে দ্রুতই। অনেক বিক্রেতাই জানিয়েছেন, হাটের শুরু থেকেই বিক্রি ভালো, গরু পছন্দ হলে ক্রেতারা দরদাম করে সাথে সাথেই চূড়ান্ত করে ফেলছেন। সবিক্রেতারা বলছেন, নারায়নপুরহাটেকোরবানিরনরসিংদী ও আশপাশের এলাকার মধ্যে অন্যতম বড় ও জনপ্রিয়। প্রতিবারের মতো এবারও ভালো গরুর সরবরাহ, দাম এবং পরিবেশ সবই অনুকূলে থাকায় বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।
নারায়নপুরহাটেএই কোরবানির হাট এখন আর শুধুমাত্র পশু বেচাকেনার কেন্দ্র নয়, এটি হয়ে উঠেছে মানুষের মিলনমেলা, দরদামের আনন্দঘন মঞ্চ—যেখানে ঈদের পূর্বঘোষিত খুশি ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিটি হাসিমুখে, প্রতিটি দর-কষাকষিতে।