আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে । সোমবার (২ জুন) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম স্বাক্ষরিত কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয় কমিটির তালিকা এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। তবে ৩১ সদস্যের কমিটিতে মাত্র দুইজন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০০৮ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিতে সব রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জুলাই আন্দোলনের সময় রাজপথে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত দল এনসিপির কমিটিতে নারীদের অন্তর্ভুক্তির স্বল্পতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও নবগঠিত সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দের দাবি, তারা পরবর্তীতে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবেন। নবগঠিত কমিটিতে মুকুল মিয়াকে প্রধান সমন্বয়কারী করে ৭ জন যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং ২ নারী সহ ২৩ সদস্য রাখা হয়েছে।
যুগ্ম সমন্বয়কারীরা হলেন- অ্যাডভোকেট আব্দুল বারেক, মাহমুদুল হাসান জুয়েল, মাসুম মিয়া, মোজাম্মেল হক বাবু, মাওলানা দিনার মিনহাজ, রাশেদুজ্জামান তাওহীদ ও হাফিজুর রহমান খান। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে সদস্য হিসেবে মেরিনা পারভীন ও জান্নাতুন নাহার জাকিয়া নামে দুই নারী সদস্য রাখা হয়েছে। যেখানে ৩৩ শতাংশ হিসেবে অন্তত ৯ জন নারী সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক ছিল। নবগঠিত কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী (প্রচার ও মিডিয়া) রাশেদুজ্জামান তাওহীদ বলেন, ‘আমরা সবেমাত্র আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পেয়েছি। পরবর্তী কমিটি করার সময় নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে মধ্যমপন্থী এই রাজনৈতিক সংগঠনকে আমরা দেশ ও মানুষের কল্যাণে এগিয়ে নিয়ে যাবো এজন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।’
নবগঠিত কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মুকুল মিয়া নারী সদস্যের কমতির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘নতুন দল হিসেবে আমরা এখনও নেতৃত্ব দেওয়ার মতো নারী সদস্য সংগ্রহ করতে পারিনি। আগামী এক মাসের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। তখন আমরা নির্বাচন কমিশনের শর্ত পূরণ করে কমিটিতে নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করবো। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’