মো:রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে টানা চারদিন বৃষ্টি হয়েছে। টানা ভারী বর্ষণে সীতাকুণ্ড উপজেলা কুমিরা ইউনিয়নের প্রায় পাঁচশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব পরিবারের বেশির ভাগেরই ঘরের মেঝেতে পানি উঠেছে। মূলত, পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়াতে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় কুমিরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মছজিদ্দা এলাকার রসুলপুর সমগ্র এলাকায় দেখা গেছে এই পানি। প্রতিটি ঘরে বেশির ভাগ মেঝেতে পানি উঠেছে। এ ছাড়া রাস্তাঘাট ডুবে চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেককে ডুবে যাওয়া সড়কের ওপর জাল ফেলে মাছ ধরতে দেখা যায়। বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা হাঁটুপানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। দক্ষিণ মছজিদ্দা রসুলপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রোকেয়া বেগম আজকের সত্য প্রকাশকে বলেন, রাতভর মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। দিবাগত রাতে দিকে তাঁদের ঘরে পানি ঢুকতে থাকে। একপর্যায়ে ঘরের ভেতর হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায়। ঘরের আসবাবগুলো খাটের ওপর তুলে সেখানে তাঁরা অবস্থান নেন। সকালে বৃষ্টি বন্ধ হলেও পানি কমেনি।টানা চারদিনে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় এলাকার স্থানীয় এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ইদ্রিস মিয়া মনির এবং ইউনিয়ন মহিলা দলের সভানেত্রী কুমছুমা আক্তার পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন করেন এবং অত্রএলাকার লোকজন নিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন।
ইদ্রিস মিয়া মনির দৈনিক আজকের সত্য প্রকাশকে বলেন, তাঁর ইউনিয়নের দক্ষিণ মছজিদ্দা রসুলপুর এলাকায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। বেশির ভাগ পরিবারের রান্নাঘরের চুলা জ্বলেনি।এই সব পানি বন্ধিদের কথা চিন্তা করে আমরা এই পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের ব্যবস্থা করি।