মো:রমিজ আলী,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা টানা বৃষ্টি হয়েছে। টানা ভারী বর্ষণে সীতাকুণ্ড উপজেলা কুমিরা ইউনিয়নের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব পরিবারের বেশির ভাগেরই ঘরের মেঝেতে পানি উঠেছে। মূলত, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন কুমিরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মছজিদ্দা এলাকার রসুলপুর,মাষ্টার পাড়া, পশ্চিম মাষ্টার,ছোট কুমিরা বাজার থেকে শুরু করে দাশ পাড়া পযন্ত সমগ্র এলাকায় দেখা গেছে এই পানি। প্রতিটি এলাকার বেশির ভাগ ঘরের মেঝেতে পানি উঠেছে। এ ছাড়া রাস্তাঘাট ডুবে চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেককে ডুবে যাওয়া সড়কের ওপর জাল ফেলে মাছ ধরতে দেখা যায়। লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রি কলেজ, লতিফা সিদ্দিকী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মছজিদ্দা উচ্চ বিদ্যালয় এবং মছজিদ্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা হাঁটুপানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে।
দক্ষিণ মছজিদ্দা রসুলপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জুসনা বেগম আজকের সত্য প্রকাশ কে বলেন, রাতভর মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। দিবাগত রাতে দিকে তাঁদের ঘরে পানি ঢুকতে থাকে। একপর্যায়ে ঘরের ভেতর হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায়। ঘরের আসবাবগুলো খাটের ওপর তুলে সেখানে তাঁরা অবস্থান নেন। সকালে বৃষ্টি বন্ধ হলেও পানি কমেনি। সারা দিনে পানি নিষ্কাশন সম্ভব হবে কি না, সন্দেহ তাঁর।দুপুর ১২টার দিকে কুমিরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ইদ্রিস মিয়া মনির ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাছির উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম,সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইউনুস মিয়া, মো:ফারুক।
ইদ্রিস মিয়া মনির আজকের সত্য প্রকাশ কে বলেন, তাঁর ইউনিয়নের দক্ষিণ মছজিদ্দা রসুলপুর, মাষ্টার পাড়া এলাকায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। বেশির ভাগ পরিবারের রান্নাঘরের চুলা জ্বলেনি।