জেনিভা প্রিয়ানা বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
মোংলা বন্দরে নোঙর করা একটি বাণিজ্যিক জাহাজে সংঘটিত পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনায় চোরাই মালামালসহ আওয়ামী লীগ নেতা ও মাছ ব্যবসায়ী ওলির ছেলে মোঃ সুমনসহ তিনজনকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। আটক ব্যক্তিরা সবাই মোংলার বাসিন্দা।
কোস্ট গার্ড জানায়, গত ২৭ মে গভীর রাতে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ১২ জনের একটি ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশ করে। তারা জাহাজ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেশিনারি যন্ত্রাংশ, ব্যাটারি, ইস্পাত পাম্পসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই কোস্ট গার্ড গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৮ মে মোংলা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির সাথে জড়িত সন্দেহে মোঃ সুমনসহ তিনজনকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া মালামালও উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডাকাতির এই ঘটনা ছিল একটি সুপরিকল্পিত নাটক। এতে জাহাজটির চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ কয়েকজন নাবিক প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তারা গত ৬-৭ মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় মালিকপক্ষের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে এধরনের পরিকল্পনায় লিপ্ত হন। জানা যায়, আর্থিক সংকটে পড়ে তারা জাহাজের মূল্যবান যন্ত্রাংশ পার্স হিসেবে ডাকাতদের কাছে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। এরই ধারাবাহিকতায় চিফ ইঞ্জিনিয়ারের তত্ত্বাবধানে পরিকল্পিতভাবে ডাকাত দলের মাধ্যমে মালামাল সরানো হয়। কোস্ট গার্ডের একটি সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত মালামালগুলো জাহাজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের জন্য আটককৃতদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং জাহাজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন,আওয়ামী লীগ নেতা মাছ ব্যবসায়ী মোঃ ওলির ছেলে মোঃ সুমন (৩৫) সহ পরিচয় না পাওয়া আরও দুইজন স্থানীয় যুবক। এ ঘটনায় পুরো মোংলা বন্দরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আটকৃত ডাকাতদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড । এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।