সাগর আহমেদ জজ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোণার পূর্বধলায় ‘আধুনিক ধান উৎপাদন ও প্রযুক্তি বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ’ উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিজকান্দি গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ মে) সকাল ১০.০০ টায় এলএসটিডি (ব্রি) প্রকল্পের অর্থায়নে ও ব্রি নেত্রকোণা আঞ্চলিক কার্যালয়ের তত্বাবধানে প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান মো: খালিদ হাসান তারেক এর সভাপতিত্বে ও বৈজ্ঞানিক সহকারী আনোয়ার হোসেন মন্ডল এর সঞ্চালনায় ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ব্রি গাজীপুরের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: আবু বক্কর সিদ্দিক, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: জাহিদুল ইসলাম এবং ব্রি নেত্রকোণার এলএসটিডি প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: খালিদ হাসান সৌরভ। এছাড়াও উপজেলা কৃষি অফিস, পূর্বধলার এসএএও জাহিদ ইকবাল সিজার সহ ব্রি, আঞ্চলিক কার্যালয় নেত্রকোণা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভিতরগাঁও ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের ৮০ জন কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণে আধুনিক ধান উৎপাদনের প্রযুক্তি বিষয়ের অংশ হিসেবে ড. মো: আবু বক্কর সিদ্দিক বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণের প্রযুক্তি বিষয়ে, ড. মো: জাহিদুল ইসলাম উফশী ধানের জাত পরিচিতি সম্পর্কে, মো: খালিদ হাসান তারেক রোগ, পোকামাকড় ও কৃষিতাত্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এবং মো: খালিদ হাসান সৌরভ কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
এর আগে এলএসটিডি (ব্রি) প্রকল্পের অর্থায়নে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার লক্ষ্যে আউশ ২০২৫ মৌসুমে ২ একর জমিতে ব্রি ধান৯৮ রোপণ করতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহারের প্রায়োগিক পরীক্ষণ ও মূল্যায়ণ অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় কৃষক মো: সাজ্জাতুন নূর নিলয়ের চাষকৃত মাঠে এ পরীক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণে উপকারভোগী কৃষক আমিনুল জানান, এ প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে ধান চাষের অনেক নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে তিনি জানতে পেরেছেন। ভবিষ্যতে অত্র অঞ্চলে আরো বড় পরিসরে এমন প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান। ব্রি নেত্রকোণার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান তারেক জানান, প্রাচীন এবং বর্তমান আধুনিক কৃষির মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। আগে ১ শতক জমিতে কৃষক ২.৫ থেকে ৪ কেজি ধান পেতো বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে তা শতাংশে প্রায় ৪০ কেজিতে পৌঁছে গিয়েছে। প্রযুক্তিকে আরো সহজলভ্য করতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা কঠোর পরিশ্রম করছে বলে তিনি জানান।