মো:সিরাজুল ইসলাম পলাশ লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তার (তহশিলদার) বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে ভূমি সেবা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেবাগ্রহীতাদের দাবী খাজনা, নামজারির প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য তিনি হাতিয়ে নিচ্ছেন এসব টাকা। এবং ইচ্ছা মতো ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত থাকছেন অফিসে।
জানা যায়, ২৫৯৯৫ নম্বর খারিজ খতিয়ান এর জন্য পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) সাহাবুল আলম ভূক্তভোগির কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা নিয়েছেন। আবার সেই জমির খাজনার( ভূমি উন্নয়ন কর) জন্য পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সাহাবুল আলম ৭৩ শতক জমির জন্য বাড়তি ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। ২০ হাজার টাকা দিলে খাজনা সমন্বয় করবেন ১১০০ টাকা বলে জানিয়েছেন আবেদন কারীকে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মফিজার রহমান জানান বিছনদই মৌজার ২৫৯৯৫ খারিজ খতিয়ানের জমিটি ক্রয় করেছি,জমি দলিল নিতে গেলে অবশ্যই খাজনা ও খারিজ এর প্রয়োজন আছে। তাই আমরা খারিজ এর জন্য আবেদন করি, আবেদন টি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার কাছে আসলে তিনি আজিজার রহমান এর দ্বারায় বাড়তি টাকা দাবি করেন এবং ২৯,৫০০ টাকা আমাদের কাছ থেকে নেন।
যার মধ্যে ১২ হাজার টাকা তিনি(তহশিলদার) ভাগ পাবেন বলে জানান আর বাকি টাকা উপজেলা ভূমি অফিসে খরচ হবে বলে তিনি দাবী করেন।
সেবা নিতে আসা ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের নূরুল হকের পুত্র মূসা আলম বলেন, এই তহসিলদার এখানে যোগদান করার পর কোনো দিন ও সঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত হয় না তিনি ১১ টার আগে অফিসে আসেন না। এবং খারিজ( নামজারি )এর প্রতিবেদন এর সময় তিনি ঘুষ ছাড়া কোন প্রতিবেদন দাখিল করেন না। ওনার চাহিদা মত ঘুষ দিলে কাজ তারাতাড়ি হয়। আর না দিলে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়।
পাটিকাপাড়া ইউনিয়ননের আব্দুল জলিল মিয়ার মেয়ে শাহিনা বেগম জানান তিনি গত ১৮-২-২০২৫ তারিখে একটি খারিজ (ই নামজারি) এর আবেদন করে যার আবেদন নম্বর ৪৬২১২৬৪ । এই আবেদন টি প্রতিবেদন এর জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রেরণ করলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সাহাবুল আলম ৫ হাজার টাকা আমার কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন। কিন্তু সেই আবেদনটি বাতিল করে উপজেলা ভূমি অফিস। এখন টাকা ফেরত এর জন্য তহসিলদার এর পিছনে ঘুরলেও টাকা ফেরত দিচ্ছে না বলে জানান শাহিনা বেগম।
এবিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাহাবুল আলম'র অফিসে সরেজমিনে সকাল ১১টায় গেলেও তিনি অনুপস্থিত থাকার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এবং তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান তিনি গতকাল ছুটিতে ছিলেন কি না তা তিনি জানেন না। আর আজকে বেলা ১১ টা হলেও তিনি কেনো অফিসে আসেন নি তাও আমার জানা নেই, হয়তো উপজেলায় কোন কাজে যেতে পারে। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম মিঞা জানান, ভূমি সেবার জন্য জনগণের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টির লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ- মোঃ হামিদুল ইসলাম। প্রধান সম্পাদকঃ- মোঃ ইলিয়াছ হোসাইন। দৈনিক আজকের সত্য প্রকাশ © ২০২৫-২৬ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। ই-মেইলঃ news24ajkersottoprokash@gmail.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ কোড ব্রাইট আইটি