মো:রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় বেড়ে চলেছে সমুদ্র উপকূলে বালু উত্তোলন এবং মাটি কাঁটার মহোৎসব। এতে করে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকার জীব বৈচিত্র্য এবং ফসলাদি জমি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সীতাকুণ্ডে উপজেলার কুমিরা,বাঁশবাড়ীয়া, বাড়বকুণ্ড, মুরাদপুর ইউনিয়নের সমুদ্র উপকূলে প্রায় ২০-৩০ টি শক্তিশালী ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে ধারাবাহিক ভাবে বালু এবং মাটি উত্তোলন করে আসছে প্রভাবশালী একটি মহল।এর ফলে সমুদ্র উপকূলের জেলেরা পড়েছেন নানা ভোগান্তিতে। কয়েকমাস আগে মুরাদপুর ইউনিয়নে সমুদ্র উপকূলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ার কারণে একজনকে নির্মমভাবে খুন করা হয়।অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে জেলেদের জাল ছিড়ে যাওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যার বেড়াজালে আবব্ধ হচ্ছে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেই দিকে যেন নজর নেয় স্হানীয় প্রশাসনের। হাতে গোনা কয়েকটি অভিযানের মধ্যে দিয়ে সীমাবদ্ধ থাকছে স্হানীয় প্রশাসন।
এই প্রশাসনের নীরবতায় ধুঁকছে সমুদ্র উপকূলে থাকা সাধারণ জণগণ। এই দিকে কুমিরা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড জেলে পাড়ায় একটি পুকুর থেকে বিশাল আকারের মাটি উত্তোলন করা হয়।এতে করে ওই এলাকার রাস্তাঘাটের নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে।প্রাকৃতিক জলধারা সংরক্ষণ আইন ২০০০ অনুযায়ী কোনো পুকুর,জলাশয়,নদীর, খালসহ ইত্যাদি ভরাট করা বা মাটি কাটা সম্পন্ন বেআইনি। এই আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা শ্রেনী পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার,ভাড়া,ইজরা বা হস্তান্তর বেআইনি। কোনো ব্যক্তি এই আইন লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই আইনকে তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সমুদ্র উপকূলে মৃত্যর ফাঁদ তৈরি করছে। বর্তমানে এই সব সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন জায়গায় থেকে পর্যটকরা আসে এবং গোসল করতে নেমে নির্মমভাবে হারাচ্ছে প্রাণ।গত দুই বছরে প্রায় ৬-৭ জনের মৃতুর খবর পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আব্দুল আল মামুনের কাছ থেকে কোনো উত্তর মেলেনি।