মুশতাক আহমেদ, পবিপ্রবি প্রতিনিধি:
পুষ্টিহীনতা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বড় অন্তরায়। এ চক্র ভাঙতে হলে পরিবার থেকেই সচেতনতা শুরু করতে হবে”—বরিশালের বাখেরগঞ্জের বোয়ালিয়ায় অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। রোববার (১৯ মে) সকাল ১০টায় বাখেরগঞ্জের জেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে গ্রামীণ জনসংখ্যা ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর আয়োজনে এবং আরএমটিপি প্রকল্পের সহায়তায় অনুষ্ঠিত হয় ‘পুষ্টি সচেতনতা ও শিক্ষণ কার্যক্রম বিষয়ক’ এই আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথির নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “শিশুদের মধ্যে পুষ্টির ঘাটতি শুধু তাদের বর্তমান নয়, ভবিষ্যৎকেও বিপন্ন করে। খাদ্যাভ্যাস ও সচেতনতার মাধ্যমে পরিবার থেকেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। পুষ্টি শুধু খাবারের মান নয়, বরং জীবনের মানও নির্ধারণ করে। শিশুর বেড়ে ওঠার পথে সুষম খাদ্যের অভাব যেমন দেহগঠনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তেমনি বুদ্ধিমত্তা, মনোযোগ ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, “নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য কৃষক, জেলে, প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিরা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ-এর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আকন্দ মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। শিশু ও নারীরা হতে পারে এই আন্দোলনের অগ্রসেনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাখেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পবিপ্রবির সাবেক ছাত্রী রোমানা আফরোজ। সভাপতিত্ব করেন বোয়ালিয়া জেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অ্যাডভোকেট মুজিবর রহমান মোল্লা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জিজেইউএস-এর নির্বাহী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান রানা।
আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুধ, ডিম, ফলসহ পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ করা হয়। আয়োজকদের মতে, এই প্রতীকী উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পুষ্টির গুরুত্ব হাতে-কলমে বুঝতে শিখবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সক্রিয় অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। অংশগ্রহণকারীরা বলেন, “নিয়মিত এমন উদ্যোগ চললে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে সুস্থ, সচেতন ও উন্নয়নমুখী।