দেলোয়ার হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভায় জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, দূষণমুক্ত পরিবেশ ও পানির প্রবাহ চলমান রাখতে এবং সম্ভাব্য বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে শনিবার (১৭ মে) পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে সকালে গোবিন্দপুর ইউনিয়নে গোবিন্দপুর বাজার থেকে মোহাম্মদপুর অংশে ডাকাতিয়া নদী পর্যন্ত, ১০০০ মিটার দৈর্ঘ্য খাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ সকাল ১০ টায় খাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন,জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, দূষণমুক্ত পরিবেশ ও পানির প্রবাহ চলমান রাখতে এবং সম্ভাব্য বন্যার কবল থেকে রক্ষা ও সচেতনতার সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি খাল সংস্কার ও পরিস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, আমরা শুরু করছি, অন্যরা ঠিকই সম্পন্ন করবেন। সবাই সচেতন হলে পরিবেশ দূষণমুক্ত হবে। সমাজের উন্নয়ন ঘটবে।
গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক খোন্দকার মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমরা এই কাজে গোবিন্দপুর ইউনিয়নবাসীর সহযোগিতা চাচ্ছি এবং পাশাপাশি তাদেরকে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ছাত্র ও শ্রমিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। কিন্তু এটিকে ধরে রাখার কাজ হচ্ছে এই এলাকার জনসাধারণের। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ ৩ দিন চলমান থাকবে। এরপর এই কাজটির তত্ত্বাবধান করবে গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ।
গোবিন্দপুর খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ সহ গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কাউট দল অংশগ্রহণ করায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানান গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের
প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ারা বেগম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা -আখতার হোসেন,গোবিন্দপুর ইউপির হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সফিউল আলম, উপজেলা সেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি মাসুদ রানা বেলাল, ইউনিয়ন উত্তর বিএনপির সভাপতি আজহারুল হক খোকা, ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক আউয়াল মেম্বার, ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সহ সেক্রেটারি মাসুদ খন্দকারসহ প্রমুখ।
খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান বিষয়ে মোহাম্মদপুর গ্রামের শাহআলম বলেন, গতবারের বন্যায় আমাদের বাড়িঘরসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের বেশ ক্ষতি হয়েছে।গোবিন্দপুর খালটি যদি দখল না হতো তাহলে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে আমরা পড়তাম না। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার দখলকৃত খাল উদ্ধারে যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাতে আমরা বেশ খুশি। এসব খালগুলো দখলমুক্ত থাকলে বন্যার ভয়াবহতা থেকে লাকসামবাসী রক্ষা পাবে।