জলাশ পাহান স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ
বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলার ন্যায় পোরশা উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে। আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) পালিত হলো পবিত্র ইস্টার সানডে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসবের দিন এবং খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্টের মৃত্যু হতে পুনরুত্থান দিবস বলা হয় এই দিনকে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা বিশ্বাস করেন, এদিনে যিশু খ্রিষ্ট মৃত্যুকে জয় করে পুনরুত্থিত হয়ে তাদের পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন। পুণ্য শুক্রবার বা গুড ফ্রাইডেতে বিপথগামী ইহুদি শাসকগোষ্ঠী তাদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন শাসনব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে যিশু খ্রিষ্টকে অন্যায়ভাবে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করেছিল। মৃত্যুর তৃতীয় দিবস রবিবার তিনি মৃত্যু থেকে জেগে ওঠেন বা তাঁর পুনরুত্থান ঘটে। যিশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থানের এই রবিবারকেই ইস্টার সানডে বা পুনরুত্থান রবিবার বলা হয়।
তবে, বড়দিনের মতো ইস্টার সানডে কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও তারিখে পালিত হয় না। বলা হয়, ২১ মার্চের পর যখন আকাশে প্রথম দেখা যায় পূর্ণ চাঁদ, তার পরের রবিবার পালন করা হয় ইস্টার। মূলত গ্রেগরিয়ান এবং জুলিয়ান ক্যালেন্ডারসহ বেশ কয়েকটি দিনপঞ্জিকার হিসেব মিলিয়ে বের করা হয় ইস্টারের তারিখ, যা ৪ এপ্রিল থেকে ৮ মে’র মধ্যে যেকোনও সময় হতে পারে। দিনটি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য উৎসবের। ৪০ দিনের প্রায়শ্চিত্তকালীন উপবাস শেষে ইস্টার সানডে তাদের জন্য বয়ে আনে আনন্দের বার্তা, তাই, দিনটি তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিনটি উপলক্ষে রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে পোরশা উপজেলার বন্ধুপাড়ার কাটাডাঙ্গায় অবস্থিত সাধু পল ক্যাথলিক চার্চে প্রাতঃকালীন উপাসনা করেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। এসময় ফাদার জনি ফিনি, ওএমআই (অবলেট ডেলিগেশন সুপিরিয়র) মহোদয়ের পরিচালনায় ভাব গাম্ভীর্যপূর্ণ উপাসনায়, প্রার্থনা, সংগীত, বাইবেল পাঠ এবং আশীর্বচন অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
উপাসনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গ্রাম থেকে খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারী ও ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রশাসন উৎসবটি নিরাপদে পালনের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।