
এ.কে পলাশ কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার তিতাসের মঙ্গলকান্দি গ্রামে নির্মাণাধীন ভবন থেকে রাজমিস্ত্রি মোস্তফার (৫৫) হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধারের ঘটনার মাত্র চার দিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন করে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১১ ও র্যাব-৬ এর সদস্যরা। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-২২, তারিখ-৩০/০৬/২০২৫; ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড)। মামলার তদন্তে র্যাব প্রযুক্তিগত ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে। র্যাব-১১ এবং র্যাব-৬ এর যৌথ অভিযানে গত ২ জুলাই বাগেরহাট জেলার মংলা ইপিজেড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো- মো. মোস্তাকিম হোসেন ওরফে নাইম (২০) এবং আহমাদুল্লাহ ওরফে বাবু (রিফাত) (২১), দুজনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার বাসিন্দা।
র্যাব সুত্রে জানা যায়, নিহত মোস্তফা পেশায় একজন অভিজ্ঞ রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি কন্ট্রাক্টের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত থাকতেন। তিতাস উপজেলার মঙ্গলকান্দি গ্রামে একটি নির্মাণাধীন ভবনের কাজে তিনি দায়িত্ব পান এবং সেই সঙ্গে মোস্তাকিম ও আহমাদুল্লাহকেও শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ২৮ জুন রাতে কাজ শেষে পাওনা টাকা নিয়ে মোস্তফার সঙ্গে দুই আসামির তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে তারা নির্মমভাবে তার ওপর হামলা চালায়। প্রথমে হাত-পা বেঁধে তাকে রড দিয়ে চোখে আঘাত করে, পরে গামছা ও স্কচটেপ দিয়ে চোখ-মুখ চেপে পাশবিক নির্যাতন চালায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও শ্বাসরোধে ঘটনাস্থলেই মোস্তফার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গিয়ে মংলায় আত্মগোপন করে।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত দুই আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার সকালে তিতাস থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ.কে পলাশ কুমিল্লা প্রতিনিধি। 



















