
বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার, জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সামাদ মুন্সিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই ২০২৫) দুপুর ২টার দিকে উপজেলা পরিষদ থেকে বের হওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। জানা যায়, সামাদ মুন্সি উপজেলা পরিষদে একটি বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে বের হওয়ার সময় টুঙ্গিপাড়া থানার একটি চৌকস টিম তাকে আটক করে। টিমটির নেতৃত্ব দেন এসআই মনির হোসেন এবং তার সঙ্গে ছিলেন এএসআই খালেকুজ্জামান। গ্রেপ্তারকৃত সামাদ মুন্সি, পিতা মৃত ছবের মুন্সি, দক্ষিণ বর্ণি গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে টুঙ্গিপাড়ার খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তিনি অভিযুক্ত। মামলাটি টুঙ্গিপাড়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬/১০/১২/১৩ ধারাসহ পেনাল কোড ১৮৬০-এর বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী রুজু হয় (মামলা নম্বর: টুঙ্গী-২)। মামলায় ১০৫ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৪৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন নজরদারির পর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনির হোসেন বলেন, “এই মামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি খোরশেদ আলম জানান, “তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গোপালগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আবার অনেকে এটিকে আইনগতভাবে যথাযথ পদক্ষেপ বলেই দেখছেন। স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, “অপরাধ করলে দল বা পরিচয় বিবেচনা না করে আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় অনেক নেতা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, ভেতরে ভেতরে অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশের বক্তব্য, “আমরা দল নয়, অপরাধী দেখি।

বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার, জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ 



















